আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের খেলা শেষ।
নেতারা অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে যে তাণ্ডব চলছে, বিএনপিকে দিয়ে বাংলাদেশেও তা করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত সমাবেশে ১৪ দলের নেতারা এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি কর্তৃক প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশ হাসপাতালে হামলা, পুলিশ সদস্য হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে’ এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ১৪ দল।
বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে আসার আহবান জানিয়ে ১৪ দলের নেতারা বলেন, নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সমাবেশে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন অভিযোগ করেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য করতে চেয়েছিলো। মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ায় তারা পালিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তা বিএনপিকে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন মেনন। তিনি বলেন, সেই খেলা খেলতে দেয়া হবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
তিনি করেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে হাসপাতালে হামলা হয়েছে, সেই কর্মধারায় বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। সংবিধান, বিচার বিভাগ, গণতান্ত্রিক ধারার ওপর যারা আঘাত করছে, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
আমির হোসেন জানান, ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে। কেউ আন্দোলন করে নির্বাচন প্রতিহত করতে এলে তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করারও দাবি জানান।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির আন্দোলন খেলা শেষ হয়েছে। তাদের ভরসা ছিলো বিদেশি শক্তির ওপর। যে আন্দোলনের সঙ্গে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নেই, সে আন্দোলন সফল হতে পারে না। যথাসময়ে নির্বাচন হবে জানিয়ে সময় থাকতে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহবান জানান তিনি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কামরুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আলী ফারুকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার প্রমুখ।
স্বাআলো/এসএ