যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের লাভলী শারমিন সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে চিরকুটে চারজন সুদে কারবারীর নাম লিখে আত্মহত্যা করেছেন।
৫ ডিসেম্বর ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
লাভলীর ছেলে নিশাত আল মামুন কোতোয়ালী থানায় চারজনের নামে মামলা করেছেন।
তিন বছর বছর একজনের কাছ থেকে লাভলী শারমিন এক লাখ ২০ হাজার টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন। বিভিন্ন সময়ে ওই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই সুদে কারবারী তার কাছে আরো টাকা দাবি করে। অভাব অনাটনের সংসারে সুদের টাকা দিতে না পারায় এই চারজন আসামি ২০ ও ৩০ নভেম্বর রাতে দুই দফায় তাদের বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সুদের টাকা দিতে অস্বীকার করায় লাভলী শারমিনকে আত্মহত্যার করার জন্য বলে চলে যায়। এই কথায় মনে কষ্ট পেয়ে মানসম্মানের ভয়ে ৫ ডিসেম্বর ওই চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন ।
অবৈধ সুদে ব্যবসাটি খোলামেলাভাবেই চলছে। সুদে কারবারীর পাল্লায় পড়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে কেউ লোন নিলে ওই জাল থেকে আর গ্রহীতারা বের হতে পারে না। কিন্তু দেখার বা বলার কেউ নেই। তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এমনই যাতাকলে নিষ্পিষ্ট হচ্ছে সেখানকার মানুষ। আমরা যতদূর জানি ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ ঋণের ব্যবস্থা আছে। ঋণ সুবিধা হাতের কাছে পৌছে দেবার জন্য এনজিওগুলো কাজ করছে। এরপরও কেনো মানুষ জেনেশুনে সুদে কারবারীদেও পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে। খবর নিয়ে জানা যায় তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে কাগজপত্রের কোনো ঝামেলা নেই। চাইলেই পাওয়া যায়। এ সুবিধার জন্য মানুষ ওদিকে ভেড়ে। এতে শেষমেষ তাদেরকে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে।
এসব সুদে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া বা ব্যবস্থা থাকা উচিত। ফ্রি স্টাইলে এভাবে মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করার এ সর্বনাশা কাজ চলতে দেয়া যায় না।
স্বাআলো/এস