বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও রুখতে তরুণদের নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ভোটার যতো কমতে থাকবে, আমাদের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ততো কমতে থাকবে। আপনারা যদি প্রতি নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেন, তাহলে এখন যেমন জামায়াত বলে কিছু নাই, ভবিষ্যতে বিএনপি বলেও কিছু থাকবে না। আর সেইদিন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ‘লেটস টক’অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে তরুণদের মুখোমুখি হয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি তরুণদের নানা জিজ্ঞাসার উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রধান সজীব ওয়াজদ।
সেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের ভাবনা আর প্রযুক্তি নিয়ে যেমন অনেকে প্রশ্ন করেন, স্বাভাবিকভাবেই আসে রাজনীতি আর নির্বাচনের প্রসঙ্গ।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচি দিয়ে আসছে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া বিএনপি এবং তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী।
আর এই হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রতিদিনই যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়ার খবর আসছে। গাড়িতে অগ্নি সংযোগের সময় পেট্রোলবোমাসহ ধরা পড়ছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। সিআরআই-এর হিসেবে এসব নাশকতায় দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
২০১৩-১৫ সালেও একইভাবে ব্যাপক নাশকতা হয় বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির মধ্যে। ‘অগ্নি সন্ত্রাসে’ পুড়ে মারা যায় শতাধিক মানুষ।
এমন সব সহিংসতা ভবিষ্যতে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ হয়ে উঠবে কিনা, তা সজীব ওয়াজেদের কাছে জানতে চান এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।
জবাবে বিএনপি-জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী দল’ অ্যাখ্যা দিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সহিংসতা ও সন্ত্রাস বন্ধে আসন্ন নির্বাচনে তরুণদের নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান সজীব ওয়াজেদ।
তিনি বলেন, গত তিন নির্বাচনে পর্যালোচনা করে দেখেছি। এদেরকে এভাবে যানবাহনে আগুন দিতে একটি শ্রেণি উৎসাহ দিচ্ছে। বিদেশি, বিশেষত ওয়েস্টার্ন কিছু রাষ্ট্রদূত। ঠিক নির্বাচনের আগে তারা অতিরিক্ত কথা বলা শুরু করে। এই যে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধীদের দল, জঙ্গি দল। তাদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী বলবে না। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকারের কোনো চিহ্ন নেই।
বিএনপি আগুন জ্বালাচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল তারা বলবে না। উল্টো আরো স্পেস দিতে হবে, জায়গা দিতে হবে- আরো মানুষ পোড়াও, আরো মানুষ মারো। আমি তরুণদের বলবো, তারা যেনো বিদেশিদের থেকে সাবধান থাকে। তারা চায় বাংলাদেশ যেনো গরিব দেশ হয়ে থাকে। তাদের হুকুম মত চলে।
স্বাআলো/এস