সম্পদকীয়: মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেল আর একটি বছর। দিনপঞ্জির হিসেব অনুযায়ী আজ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ। ঘড়ি যার আগমনী বার্তা ঘোষণা করেছিলো রাত ১২টা এক মিনিটে। স্বাগত ১৪৩১, বাংলা নববর্ষ।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।শহরে নানা আয়োজনের মাধ্যমে নববর্ষ পালনের জানান দিলেও আজো গ্রামে তেমন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তাই বলে থেমে থাকে না তাদের নববর্ষ পালন। বছরের প্রথম দিন সব কিছু পরিপাটি করা, সব কাজকর্ম নতুন করে শুরু করা, দোকানপাটে নতুন খাতা খুলতে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো এ সবই সংস্কৃতির অংশ।
যে জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে সে জাতি কোনো দিন পিছিয়ে থাকতে পারে না। সংস্কৃতি হলো শরীরে রক্ত প্রবাহের মতো। কোনো কারণে যদি রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রাণিকুলের আর কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। আজো বাংলা দিনপঞ্জী অনুসরণ করেই চাষাবাদ করা হয়। কোনো কৃষকই মনের অজান্তেও অন্য দিনপঞ্জী অনুসরণ করে মাঠে নামে না। শহুরে শিক্ষিত মানুষের কাছে সারা বছরই যখন বাংলা দিন তারিখ খেয়াল থাকে না তখন গ্রাম্য সাধারণ মানুষটির কাছে বাংলা দিনপঞ্জীর হিসাবটা সযত্নে থাকে।
পুরোনো সব জ্বরা-জঞ্জাল দূরে ঠেলে নতুন বছর নিয়ে আসে নতুন প্রেরণা আর স্বপ্ন। নতুন বছরের শুরুটা তাই এ জেলাবাসী উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যাবে। সমৃদ্ধির এক গর্বিত ঐতিহ্যের অধিকারী যশোরবাসী। সেই ঐতিহ্যের পথ ধরে সমৃদ্ধির পথে নতুন বছরটিতে এগিয়ে যাবে এ জেলার মানুষ। চলার পথে কিছু যে সমস্যা থাকবে না তা নয়। তবু আমরা আশায় বুক বাঁধি। আমাদের যে সমস্যা আছে, আছে যে সংকট তা সবই কেটে যাবে নতুন বছরে। নতুন সূর্যের আলোয় প্রাণ পাবে জেলার মানুষ। নতুন বছরে সবার শপথ হোক দেশের স্বার্থ রক্ষার। একটি সংস্কৃতি সমৃদ্ধ জাতি এ চেতনায় সমুজ্জ্বল হয়। এটা হলেই নতুন বছরের পথচলা শুভ হবে। আমরা এ শুভ যাত্রা কামনা করি। বছরের নতুন দিনে এই সাথে সকলকে ফুলেল শুভেচ্ছা।
স্বাআলো/এস