২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রার্থী মনোনয়নের মধ্য দিয়ে সব আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত দলটি। এর আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুইদিনে চূড়ান্ত করা হয় অন্য ছয় বিভাগের প্রার্থীর নাম।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। বিকেল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৩০০ আসনের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হবে। এতে মনোনয়ন-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে গণভবনে ৩ হাজারের বেশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীকে মতবিনিময়ে ডেকেছেন দলটির সভাপতি। সেখানে দল ঘোষিত প্রার্থীদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ব্যাপারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেবেন তিনি। সব দ্বন্দ্ব-কোন্দল ভুলে টানা চতুর্থবারের মতো দলকে ক্ষমতায় আনতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি নির্বাচনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনাও দেয়া হবে।
এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে চলছে নানা গুঞ্জন। কাকে কোন আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছে তা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। যদিও প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কঠোর গোপনীয়তা নিয়েছে। তবু অনেক আসনে নিশ্চিত হওয়া প্রার্থীদের নাম প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। অযোগ্যতা, অদক্ষতা, জনপ্রিয়তা হারানো, দুর্নীতি-অনিয়ম, দলীয় কোন্দলে জড়ানোসহ নানা কারণে আওয়ামী লীগের বর্তমান ২৫৯ এমপির মধ্যে অন্তত ৩০ জন বাদ পড়েছেন। তাদের বদলে জায়গা করে দেয়া হয়েছে হেভিওয়েট নেতা ও সাবেক এমপিদের অনেককেই। তারকাজগতের কয়েকজনসহ প্রার্থী করা হয়েছে তরুণদেরও।
মনোনয়ন পাচ্ছেন না ৩০ বর্তমান এমপি
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যশোর-২ আসনে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পাচ্ছেন ডা. তৌহিদুজ্জামান। তিনি একজন চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা।
বেশ কিছু আসনের বর্তমান এমপিরা বাদ পড়েছেন। এই সংখ্যা ৩০ জনের কম হবে না। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, পঞ্চগড়-১ আসনে মজহারুল হক প্রধান, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে অধ্যাপক মেরিনা জামান কবিতা, মাগুরা-১ আসনে সাইফুজ্জামান শিখর, যশোর-২ আসনে নাসির উদ্দিন, বরিশাল-২ আসনে শাহে আলম, বরিশাল-৪ আসনে পংকজ নাথ, ঢাকা-১০ আসনে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খান, সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সিলেট-৫ আসনে হাফিজ আহমেদ মজুমদার, হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, চাঁদপুর-২ আসনে নূরুল আমিন রুহুল, জামালপুর-৫ আসনে মোজাফফর হোসেন, নেত্রকোনা-১ আসনে মানু মজুমদার, টাঙ্গাইল-৫ আসনে সানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৩ আসনে আতাউর রহমান খান, রাজশাহী-১ আসনে ফারুক চৌধুরী এবং কুড়িগ্রাম-১ আসনে আছলাম হোসেন সওদাগর।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, যাদের জনপ্রিয়তা নেই, কিংবা জয়ী হতে সক্ষম নন, তারাই বাদ পড়েছেন। একইভাবে তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় ও জয়লাভে সক্ষম ব্যক্তিকে দল প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এসএ