নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের তানিয়া সুলতানা এই মামলাটি করেছেন।
যশোরের নারী ও শিশু নিয়াতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবীর মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতোয়ালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
যশোরে শিশু পাচার মামলায় ২০ বছর পর রিকশা চালকের যাবজ্জীবন
আসামি পুলিশ সদস্য সাবিত হোসেন যশোর শহরের পূর্ববারান্দী মোল্যাপাড়ার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি নড়াইলে কর্মরত আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি সাবিত হোসেন ২০২২ সালের ২ জুন পারিবারিকভাবে তানিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তানিয়ার বাবা আসামি সাবিতকে যৌতুক হিসেবে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল দেয়া হয়। বিয়ের সময় সাবিত নিজেকে অবিবাহিত দাবি করলেও সংসার করা কালে তানিয়া জানতে পারেন ফারজানা ইয়াসমিন নামে এক মেয়েকে এর আগে বিয়ে করেছিলেন। সাবিতের নির্যাতনের কারণে ফারজানা ইয়াসমিন তাকে ত্যাগ করে চলে গেছে। বেশ কিছুদিন হলো সাবিত তার প্রথম স্ত্রী ফারজানার সাথে যোগাযোগ করে ফের তাকে বিয়ে করার চেষ্টা করছেন।
চলতি বছরের প্রথমে দিকে সাবিত হোসেন প্রাইভেটকার কিনবে বলে তানিয়ার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা তার বাবার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে এনে দিতে হবে বলে জানায় সাবিত। ১ এপ্রিল তানিয়া যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার কারায় তাকে মারধর করে মারাত্মক জখম করেন তার স্বামী। এই ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সাবিতের পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করে নেন। ৮ এপ্রিল তানিয়া সুলতানা নড়াইল পুলিশ সুপারের দফতরে একটি অভিযোগ দেন সাবিতের বিরুদ্ধে। এতে তানিয়া সুলতানার উপর চরম ক্ষিপ্ত হয় সাবিত। গত ১৮ জুলই সাবিত তার শ্বশুর বাড়ি বড় ভেকুটিয়া আসেন। এসময় সাবিত তার চাকরির প্রমোশনের জন্য আরো ১০ লাখ টাকা লাগবে বলে স্ত্রীর কাছে দাবি করেন। তানিয়া এতো টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করে জখম করে পালিয়ে আসে সাবিত।
স্বাআলো/এস