শনিবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের দুই এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এরপর থেকে সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
দুইদিন ঝড়-বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছিলো। তাপমাত্রা বেড়েছিলো রাতের। শনিবার দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। আগামী দিনগুলোতে রাতের তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত উত্তরাঞ্চল (রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ) ছাড়া সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুরে। বেশি বৃষ্টির মধ্যে ভোলায় ১৯০, বরিশালে ১৮৫, পটুয়াখালীতে ১৪৮, কুমিল্লায় ১১২, হাতিয়ায় ১০৫, শ্রীমঙ্গলে ১০৪, ফেনীতে ৯৯, মাইজদীকোর্টে ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার সকালে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো দুর্বল এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দুইএক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো সৈয়দপুরে, ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী দিনগুলোতে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
স্বাআলো/এসএ