চলন্ত অটোরিকশায় ‘পেট্রোল বোমা’ নিক্ষেপ, ২ নারী দগ্ধ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকায় চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দুই নারী দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে ঘটনাটি ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- লায়লী বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ ঝর্ণা আক্তার (৩০)।

এদের মধ্যে লায়লি বেগমের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ঝর্ণা আক্তারও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার আতুরার ডিপো এলাকার চামড়া গুদামের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারা বা কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

অটোরিকশা চালক জামি জানান, তিনি রাউজান পৌরসভা এলাকা থেকে দুই শিশু ও তিন নারীসহ (দগ্ধ দুজনসহ) মোট ছয়জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন। ভোর চারটার দিকে তিনি যাত্রা শুরু করেন। তার গাড়িটি আতুরার ডিপো এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে থাকা তিনজন মুখোশধারী ব্যক্তি হঠাৎ গাড়ির পেছনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটি আঘাত হানলে অটোরিকশার পেছনের অংশে আগুন ধরে যায়।

চালক জামি আরো বলেন, যাত্রীদের চিৎকার শুনে আমি দ্রুত গাড়ি থামিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে ফেলি। কিন্তু এর মধ্যেই দুই নারী যাত্রী দগ্ধ হন। আমার সিএনজি গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দগ্ধ লায়লী বেগমের স্বামী আব্বাস বলেন, আমার স্ত্রীর শরীরের বেশিরভাগ অংশ এবং ছেলের বউয়ের হাত পুড়ে গেছে। স্ত্রীকে নিয়ে এখন ঢাকার পথে আছি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, দগ্ধ অবস্থায় দুই নারীকে ভোর ৫টার দিকে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

বার্ন ইউনিটের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. খালেদ নিশ্চিত করেছেন যে, লায়লী বেগমের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স্বাআলো/এস