যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত এক কর্মী মারা গেছেন।
নিহতের নাম আশা (৩৫), তিনি উপজেলার বালিয়া গ্রামের মৃত আতাল উদ্দিনের ছেলে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার ছুটিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে স্থানীয় দলীয় কার্যালয় থেকে আশা ও তার ভাই মইদুল (৩০) দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মহড়া (মিছিল) বের করেন। মিছিলটি ছুটিপুর জামতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপ্লব নামে এক নেতার নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি গ্রুপ তাদের বাধা দেয়। এই বাধাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর চড়াও হয়। এতে আশা ও মইদুল গুরুতর আহত হন।
ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, যুবক নিহত
আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আশার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রোববার সকালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত মইদুল বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তসহ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস