ঢাকা অফিস: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নানা মাত্রায় বৃদ্ধি করতে আগ্রহী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো। এবারে নতুনভাবে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বৃহত্তর নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে।
ইতোমধ্যে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়ে গেছে। এছাড়া ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় চলে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, সম্পর্ক ভালো না হলে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা হয় না। ফলে এই আলোচনা বেশ আশার উদ্বেগ ঘটাচ্ছে। আগামীতে সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তবে একইসঙ্গে এ ধরনের লেনদেনের আগে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন তারা। এগুলো আলোচনা করে ঠিক করতে সময় লাগে।
বাংলাদেশের ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর অধীনে জাতীয় নিরাপত্তা সেবা কেনার ক্ষেত্রে বহুমুখীকরণের একটি তাগিদ আছে।
এজন্য সরকারও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার শহীদুল হক বলেন, এই যে অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথাগত সম্পর্কের পাশাপাশি নিরাপত্তা সেবা (সিকিউরিটি সার্ভিস) আদান-প্রদানের সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছে তার পিছনে বাংলাদেশের অর্জন আছে। বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও দৃশ্যমান করতে পারায় ব্যাপারগুলো শক্তিশালী রূপ পাচ্ছে।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ বলেন, সম্পর্ক ভালো না হলে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা হয় না। এ ধরনের সহযোগিতা সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথমবারের মতো মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেন। ওই সময়ই বাংলাদেশ তার আগ্রহের বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। এখন অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সেবা বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো।
এ বিষয়ে দুই পক্ষের আগ্রহ আছে উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ বলেন, তবে সুবিধাজনক শর্তে আমরা কিনতে চাই।
স্বাআলো/এস