কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরের কালিয়ারই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আব্দুস সালাম।
বক্তৃতা করেন, প্রতিষ্ঠাতা আবু বক্তার সিদ্দিক গাজী, ইউপি সদস্য, স্ত্রী আসমা খাতুন ও মকবুল হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
কেশবপুরে বিদ্যালয়ে না গিয়েই বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক দুই সপ্তাহের কোনো একদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় বিগত দিনের স্বাক্ষর করে চলে আসেন। বিদ্যালয়ে না গিয়েই তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতার সরকারি অংশ অবৈধভাবে উত্তোলন করে চলেছে।
তার অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর অধীনে চলতে হয় শিক্ষকদের। এ নিয়ে শিক্ষকসহ অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে। তার অনুপস্থিতির সুযোগে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আজিবর রহমান কাউকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক শিক্ষা সফরের দিনে ওই অফিস সহকারীর হাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিসুর রহমান লাঞ্ছিত হন।
৬ বছর আত্মগোপণে কেশবপুরের ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করেছে যশোরের পিবিআই
প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আমিনুর রহমানকে দিয়ে শ্রেণি কক্ষের পাঠদান করানো হচ্ছে। এনিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী গুসাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ করেন। তারই জের ধরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির মিটিং চলাকালীন সময়ে দাতা সদস্য মকবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক মুনজুর রহমান গালিগালাজ করে মিটিং থেকে বের করে দেয়। যে কারনে বৃহস্পতিবার মকবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।
প্রধান শিক্ষক এস এম মুনজুর রহমান মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাআলো/এসআর