যশোরের বাঘারপাড়ার দয়রামপুর সিদ্দিকিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইয়াহিয়া আলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাদরাসারই উপাধ্যক্ষ, এক শিক্ষক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৪ মে) সকালে মাদরাসার অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
জীবননাশের আশঙ্কায় অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া আলী বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে পাশের উপজেলা মাগুরার শালিখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া আলী বলেন, “সকালবেলা ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় উপাধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান ও সহকারী মৌলভী আব্দুর রাজ্জাক পরিচ্ছন্নতা কর্মী ইমান আলীর মাধ্যমে আমাকে শিক্ষক রুমে ডাকেন। রুমে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি বের হওয়ার চেষ্টা করলে ইমান আলী বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ে জামা ছিঁড়ে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। পরে মৌলভী আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন লোক মারফত হুমকি দেয় যে, অভিযোগ দিলে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে, গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।”
তবে অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী ইমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, “মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি, অধ্যক্ষ নিজেই পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।”
সহকারী মৌলভী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “অধ্যক্ষ তার নিজের অপর্কম ঢাকতেই এই নাটক সাজিয়েছেন। মাদরাসায় এসে দেখলেই আসল ঘটনা বোঝা যাবে।”
এ ঘটনায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুজন সরকার জানান, “অধ্যক্ষের লাঞ্ছনার বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”