ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই হাসপাতাল দুটি হচ্ছে আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতাল।
এ ছাড়া আল শিফা হাসপাতালে হামলায় তিনজন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে। খবর আলজাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল, আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।
ফেরাউনের পথ অনুসরণ করছে ইসরায়েল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়া শিশুসহ আরো বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরে তৃতীয় এক অপরিণত শিশুরও মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা ছাড়ালো ৪ হাজার
অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।
স্বাআলো/এস