আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে আগামী ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল শনিবার ঘোষণা করতে পারে।
ইসিপির একাধিক সূত্র বলেছে, কেন্দ্র এবং প্রদেশগুলোতে সরকার গঠনের সিনেট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। জাতীয় পরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র বলছে, আগামী ৯ মার্চ পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পিপিপি ও পিএমএল-এন তাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনার সময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আসিফ আলি জারদারির নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও অন্যান্য কয়েকটি দল জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করছে। পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটের শরিকদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন আসিফ আলি জারদারি।
পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনাে দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি। এই অবস্থায় জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএল-এন এবং পিপিপি। সিদ্ধান্ত হয়- পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ, জারদারি প্রেসিডেন্ট
এদিকে, নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পিটিআই এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে।
পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে।
স্বাআলো/এস