সম্পাদকীয়: ছুটির দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহে সাতজন, বগুড়ায় তিনজন, জামালপুরে দুইজন, মৌলভীবাজারে দুইজন, ফরিদপুরে একজন ও চুয়াডাঙ্গায় একজন নিহত হয়েছেন।
একদিনে এতো যে দুর্ঘটনা তা নতুন কিছু নয়। দেশে সড়কে যেভাবে প্রাণহানি ঘটছে অন্য কোনো কারণে এতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে না।
বুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে গড়ে ১২ হাজার মানুষ নিহত ও ৩৫ হাজার আহত হয়। মৃত্যুর মিছিলের এ চিত্র উদ্বেগজনক।
এ মিছিল কোনো রকমেই থামানো যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে চালকদের খামখেয়ালী ও অদক্ষতা।
সড়ক দুর্ঘটনার এ চিত্র সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ প্রেক্ষাপটেই সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গাড়িতে বিকল্প চালক রাখা, একজন চালকের পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালানোসহ ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে গাড়ির চালক ও তার সহকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া, নির্দিষ্ট দূরত্বে সড়কের পাশে সার্ভিস সেন্টার বা বিশ্রামাগার তৈরি, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে রাস্তা পারাপার বন্ধ করা বা সিগন্যাল মেনে পথচারী পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং যাত্রীদের সিটবেল্ট বাঁধা নিশ্চিত করা।
চুয়াডাঙ্গায় পিকনিকের বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণহানির দায়ে চালকের বিচার ও শাস্তি হয় না। এমনকি শাস্তির দাবি উঠলে কিংবা মামলা হলে শ্রমিকরা বেআইনিভাবে আন্দোলন শুরু করে। আইনকে নিজস্ব গতিতে হাটার ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথমে আইন প্রণয়ন করতে হবে। সম্ভবত জাপানে সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে ওই চালককে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির ভোরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে হয়। এমন ধরনের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে আমাদের দেশেও দুর্ঘটনা কমে আসবে।
স্বাআলো/এস