ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার কাছে লঞ্চডুবিতে দুই নেভি আধিকারিকসহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে ১১৫ জনকে।
তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতের পরিবার প্রতি ২ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুম্বাই শহরের অদূরেই আরব সাগরের বুকে এলিফ্যান্টা দ্বীপে রয়েছে পাহাড় কেটে তৈরি করা একগুচ্ছ গুহা। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের জন্য এটি মুম্বাইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও। এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার জন্য লঞ্চ পরিষেবা পাওয়া যায় মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে থেকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকেরাও এই লঞ্চগুলো ব্যবহার করেন।
নৌসেনার একটি স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লঞ্চে ধাক্কা মারায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। শুরু হয় তদন্ত। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানিয়েছেন, বুধবার বিকল ৩টা ৫৫মিনিটে ‘নীলকমল’ নামের একটি লঞ্চে ধাক্কা মারে নৌসেনার একটি নৌকা। দু’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের নৌসেনা হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়েছে। নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, পুলিশ ১১টি নৌকা ও চারটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে আটকে পড়া যাত্রীদের যত দ্রুত উদ্ধার করেছে। এদিকে দুর্ঘটনার তদন্তে নিরাপত্তায় গাফিলতির বড়সড় অভিযোগ উঠছে। সমস্ত যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়নি, জানাচ্ছেন যাত্রীদের অনেকেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাইয়ের সাকিনাকা এলাকার বাসিন্দা নাথারাম চৌধুরী দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চে ছিলেন। আহত হলেও বেঁচে যান তিনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
স্বাআলো/এস