আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাও আছেন, তিনি মেজর পদমর্যাদার।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে ডোডার দেশা বনে যৌথ অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ অভিযান বাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ অন্তত চার সৈন্য এবং পুলিশের এক সদস্য গুরুতর আহত হন।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার, আটক ৭
সঙ্কটজনক অবস্থায় তাদের সেখান থেকে সরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোররাতের দিকে তাদের মধ্যে ওই চার সেনার মৃত্যু হয়।
জম্মু-কাশ্মীরে গত কয়েক মাস ধরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে। এর আগে, গত ৮ জুলাই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আরো পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়। তার আগে গত ৬ ও ৭ জুলাই দক্ষিণ কাশ্মীরে দুইটি পৃথক এনকাউন্টারে ছয় সন্ত্রাসী এবং দুই সেনাসদস্য নিহত হন। তারও আগে ২৯ জুন সকালে রাজৌরিতে হামলায় এক সেনাসদস্য আহত হন। তারও আগে ১১ ও ১২ জুন জোড়া সংঘর্ষে দুই সন্ত্রাসী ও এক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত এবং ছয় নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। ২৭ জুন ডোডায় এনকাউন্টারে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। তার আগে ৯ জুন রিয়াসিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় ৯ জন তীর্থযাত্রী নিহত হন।
সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ৪ ভারতীয় নাগরিক
৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেব শপথগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভার বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সন্ত্রাসীদের অবশিষ্ট নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার জন্য একটি বহুমুখী কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, শুধু ফাঁকা আওয়াজ বা বুলি নয়, চলমান সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্বাআলো/এস