উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ। গত শুক্রবারের অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় মোট নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯৭৭ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজায় খাদ্য সংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু
হামাসের হামলার জবাবে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
কিন্তু এই বিরতি মাত্র দু’মাস স্থায়ী হয়। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত প্রায় আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১১ হাজার।
হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আলজাজিরা
স্বাআলো/এস