দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনা শহরের বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও নেত্রকোনা জেলা শহরের একটি কলেজের একই বর্ষের এক ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে ঠিক হয়।
খুলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ওই তরুণী তার হবু স্বামীর সঙ্গে দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন। হবু স্বামীর বন্ধু হিসেবে আগে থেকেই ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের সঙ্গে পরিচয় ছিল। দুর্জয়ের পরামর্শেই তারা বিরিশিরির একটি হোটেলে ওঠেন।
ওসি আরো জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তরুণীর হবু স্বামী তাকে হোটেলের কক্ষে রেখে খাবার কিনতে বাইরে যান। এই সুযোগে দুর্জয় পুলিশকে ফোন করে জানান, তার বন্ধু (তরুণীর হবু স্বামী) ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তাকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক হওয়ার পর ওই ছাত্র পুলিশকে জানান, তার হবু স্ত্রী হোটেলের কক্ষে একা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে হোটেলে গেলে কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় পায় এবং তরুণীর চিৎকার শুনতে পায়। দরজা খুলে পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর তরুণী অভিযোগ করেন, তার হবু স্বামী বাইরে যাওয়ার পর ছাত্রদল নেতা দুর্জয় তাকে ধর্ষণ করেছে।
যশোরে নারী শ্রমিককে ধর্ষণ, ২ যুবক আটক
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এই মামলায় দুর্জয়কে গ্রেফতার দেখিয়েছে। ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে গ্রেফতারকৃত দুর্জয়কে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া, ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস