মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ৮ মে আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল আজহারুলের করা আপিলটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে এবং ৬ মে দিন ধার্য হয়। ৬ মে শুনানি শুরু হয় এবং ওইদিন আপিলকারী পক্ষে শুনানি শেষে ৮ মে পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়। ৮ মে শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করেন।
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না জামায়াত: তাহের
আদালতে আপিলকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ রায়হান উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।
এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজহারুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল। এই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিভ মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়া হয়। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে এখন রায় হলো।
আজহারুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। নতুন রায়ের ফলে তার মুক্তিতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
স্বাআলো/এস