ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি মঙ্গলবার (২৪ জুন) ৩৮ বছরে পা রেখেছেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা এই বিশ্বসেরা তারকা আজও ফুটবল মাঠে তার জাদুকরী নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছেন। তার এই বিশেষ দিনে তার জীবন ও ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে ১০টি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরা হলো জন্ম থেকে বন্ধুত্ব, ইতিহাস গড়া রেকর্ড থেকে পারিবারিক শিকড় সবই আছে এই তালিকায়।
আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নিয়ে ১০টি চমকপ্রদ তথ্য:
১. মেসি আর চে গুয়েভারা: লিওনেল মেসির জন্ম আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে। এ শহরেই জন্মেছিলেন কিংবদন্তি বিপ্লবী চে গুয়েভারাও। শুধু শহর নয়, দুইজনের জন্মমাসও এক জুন। মেসির জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর চে গুয়েভারার জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন।
২. ইতিহাসের সর্বোচ্চ লাইক পাওয়া পোস্ট: ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া পোস্টটি মেসির। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সতীর্থদের সঙ্গে তার উদ্যাপনের ছবিটি এখন পর্যন্ত সাত কোটির বেশি লাইক পেয়েছে। এটি শুধু ইনস্টাগ্রাম নয়, সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বকালের সবচেয়ে লাইক পাওয়া পোস্ট।
মেসিময় রাতে মায়ামির প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ জয়
৩. বন্ধু আমার: ছেলেবেলা থেকেই Серхио আগুয়েরোর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব মেসির। এই সম্পর্ক শুধু খেলার মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, গড়িয়েছে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কেও। আগুয়েরোর ছেলে বেঞ্জামিনের গডফাদার মেসি। কেআরইউ ইস্পোর্টস নামের একটি ইস্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের যৌথ মালিকও তারা। ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে আগুয়েরো কাতারে গিয়ে দলের সঙ্গে না থেকেও মেসির রুমেই উঠেছিলেন।
৪. গায়কের নামে নাম: বিখ্যাত মার্কিন গায়ক লায়োনেল রিচির নামেই রাখা হয় লিওনেল মেসির নাম। মেসির মা সেলিয়া কুচিত্তিনি ছিলেন রিচির বড় ভক্ত। ইংরেজিতে লায়োনেল (Lionel) নামটি আর্জেন্টিনায় এসে স্প্যানিশ উচ্চারণে লিওনেল (Lionel) হয়েছে।
৫. যেখানে মেসি, সেখানেই…: সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মেসির সতীর্থ ছিলেন সের্হিও বুসকেতস। বার্সেলোনা ও ইন্টার মায়ামির হয়ে দুজনে একসঙ্গে খেলেছেন মোট ৬২১ ম্যাচ।
৬. ইতালিয়ান শিকড়: মেসির বাবা ও মায়ের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ইতালির মারকে অঞ্চলের বাসিন্দা। সেই সূত্রে তাকে সম্মানসূচক ইতালিয়ান নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এই নাগরিকত্ব পূর্ণাঙ্গ নয়, ফলে ইতালিতে ভোটাধিকার বা অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নেই তার।
ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে: উদ্বোধনী ম্যাচে মেসির মায়ামি বনাম আল আহলি
৭. মেসির আইডল: ছেলেবেলায় মেসির ফুটবল আইডল ছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক মিডফিল্ডার পাবলো আইমার। ২০০৪ সালে এক ম্যাচের পর আইমার মেসিকে নিজের জার্সি উপহার দেন। সেই জার্সি এখনো যত্নে রেখেছেন মেসি। ২০২২ বিশ্বকাপে আইমার ছিলেন আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ।
৮. মেসির ‘ভাই’ কিরকিচ: বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড বোয়ান কিরকিচ মেসির চতুর্থ প্রজন্মের চাচাতো ভাই। তাদের পূর্বপুরুষ মারিয়ানো পেরেজ মিরালেস ও তেরেসা ইয়োবেরা মিনগেট ১৮৪৬ সালে স্পেনের কাতালোনিয়ায় বিয়ে করেছিলেন। তাদেরই বংশধর মেসি ও কিরকিচ।
৯. একাই ৭ শতাংশ গোল: মেসি বার্সেলোনায় খেলেছেন ১৭ বছর। এই সময়ে ক্লাবটির মোট ৯,৩২২ গোলের মধ্যে মেসির একার গোল ছিল ৬৭২টি। অর্থাৎ, বার্সার ইতিহাসের ৭.২ শতাংশ গোল একাই করেছেন মেসি!
১০. চ্যাম্পিয়নস লিগের হ্যাটট্রিক: চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির হ্যাটট্রিক আটটি। রাউল, অঁরি, রুনি, সালাহ, ইব্রা, রোনালদো (ব্রাজিলিয়ান), লুকাকু, মুলার, সুয়ারেজ, কাভানি, দিয়েগো কস্তা, ক্রেসপো, হিগুয়েইন, মোরাতা, গ্রিজমান, সানে, ইম্মোবিলে, তোরেস, ভিয়েরি ও ফোরলান—এই সব কিংবদন্তি তারকার সম্মিলিত হ্যাটট্রিকের সংখ্যাও মেসির একার চেয়ে কম।
স্বাআলো/এস
