নিজস্ব প্রতিবদেক: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা প্রায় ১৭ জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
অপহরণের শিকার সোহান হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ইজিবাইক থেকে নামার সাথে সাথে কয়েকজন আমাকে ডাকে। ডেকে নিয়ে বলে কি পরীক্ষা দিতে এসেছেন ? এরপর আমাকে শহীদ মশিয়ূর রহমান হলের ৩০৯ নাম্বার রুমে নিয়ে গিয়ে বলে, তোরা পরীক্ষা দিতে আসছিস, এডমিট কার্ড কোথায় থেকে পাইলি ? ওই কক্ষে আমিসহ ছয়জন চাকরি পরীক্ষার্থী ছিলাম। এছাড়াও হলের ৩০৪ নাম্বার কক্ষ ও পাঁচ তলার একাধিক রুমে ১৭ জনের মতো আটকে রাখা হয়। ৩০৯ নাম্বার রুমে জোরে চিল্লাচিল্লি করলে আমাকে মাথায় ও নাকে-মুখে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি করে। আমার চেয়ে রুমের অন্যান্য পরীক্ষার্থীকে অনেক বেশি মারধর করে। তারপর সাড়ে তিনটার দিকে তারাই শহরের পালবাড়ি নিয়ে ছেড়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লিফট অপারেটর পদে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন। ফলে তাদের প্রার্থী ছাড়া অন্যরা যাতে পরীক্ষা দিতে না পারে, সেই জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী আসলেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসীয়ূর রহমান ছাত্রাবাসের ৩০৪ ও ৩০৯ নাম্বার কক্ষে আটকে রাখা হয়।
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মী এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত নয়। ছাত্রলীগ কখনোই নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিলো না।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, আমাদের কাছে অপহরণের কোনো অভিযোগ আসেনি। কে বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এই অপকর্ম করে থাকতে পারে। ছাত্রলীগের কোনো কর্মী এর সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।
যবিপ্রবি উপাচার্য (ভিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক ও অন্য সূত্র থেকে অপহরণের অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় মামলাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বাআলো/এস