কালই হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকা সত্ত্বেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপকূলীয় ১৬টি জেলার বিপদাপন্ন আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেও পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ লিখিত বক্তব্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দেশের সাতটি বিভাগের ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, এই ভর্তি পরীক্ষাটি পূর্বে ৩ মে নির্ধারিত থাকলেও দুই দফায় পিছিয়ে ৩১ মে পুনঃনির্ধারণ করা হয়। প্রথমে তা ২৪ মে এবং পরে আরো এক সপ্তাহ পিছিয়ে এই তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
একদিনে ২৩ চাকরির পরীক্ষা, মহাবিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রসমূহের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সভাও করা হয়েছে।
বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পূর্ব প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত রয়েছে। কেন্দ্র সংখ্যার দিক থেকে ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ২৪৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া খুলনা বিভাগে ১৫৬টি, রাজশাহী বিভাগে ১৪৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৪টি, রংপুর বিভাগে ৯৬টি, বরিশাল বিভাগে ৫৯টি এবং সিলেট বিভাগে ৪৪টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে।
পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষায় সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা গেলেও মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর বিশাল এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বাআলো/এস