সম্পাদকীয়: সবাই জানেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুযোগ পান তারা মেধাবী। আরা মেধাবীরা হয় শান্তশিষ্ঠ-শিষ্ঠ, নভদ্র চরিত্রের। কিন্তু যবিপ্রবির আজীবন বহিষ্কৃত নয় শিক্ষার্থী কি আসলে মেধাবী নাকি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যাবিলয়ে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলো। যে সব অভিযোগ তাদের তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তা ফুটপথের অথবা অন্ধকার গলির ছেলেদের বেলায় হলেও মানায় না। যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত সর্বত্র হওয়া উচিত। এমন একটি সিদ্ধন্তের দিকে সবাই
তাকিয়েছিলেন।
চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণ ও ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্র্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ৯ জনের পাশাপাশি বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকা আরো চার জনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্তদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাও আছে। ছাত্রত্ব না থাকায় তাঁকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন।
২৫ জুন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল ও আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, আশিকুজ্জামান (লিমন) ও আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রায়হান রহমান রাব্বীকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে জাতি তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে দুইদিন পরেই তারা সুনামের সাথে লেখাপড়া শেষ করে জাতির দক্ষ পরিচালক হিসেবে হাল ধরবে। হায়রে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। জাতিকে যেন এমন কুলাঙ্গার শিক্ষার্থীর নাম আর শুনতে না হয়, তাদের মত শিক্ষার্থীর মুখ না দেখতে হয়।
স্বাআলো/এস/বি