আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উদ্বোধনের ছয় মাস পার না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে ভারতের অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে তৈরি আলোচিত রামমন্দিরে। বৃষ্টির সময় মন্দিরের ছাদ থেকে পনি চুঁইয়ে পড়ছে।
সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস।
রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবছরের প্রথম বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে রাম মন্দিরে। যার ফলে মন্দিরের ভেতরে এবং আশপাশের কমপ্লেক্সে পানি জমেছে। ফলে মন্দিরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের মুখে।
আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনো বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরো দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, কেনো নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে নজর দেয়া উচিত।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রামলালার জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছিলো। সেখানে ভারতের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব হাজির ছিলেন সেদিন। তবে এখনো তার নির্মাণ চলছে। মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই জানা গিয়েছিল এর সুবিশাল নির্মাণের কথা। ২.৭ একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির। এক হাজার ৮০০ কোটি টাকার খরচে তৈরি এই মন্দির। এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ইস্পাত বা লোহা। শুধু নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে রামমন্দির। এমনকি নাগরা স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেলে তৈরি হয়েছে রামমন্দির। এটি তৈরির পেছনে রয়েছেন দেশের বিশাল নামী বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই এমন অবস্থা রামমন্দিরের।
উল্লেখ্য, রামমন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ গড়া হয়েছিলো, এই দাবি তুলে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হিন্দু জনতা মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে। ওই ঘটনার প্রায় তিন দশক পর ২০১৯ সালে বিতর্কিত স্থানটিতে হিন্দু মন্দির বানানোর পক্ষেই রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এক সর্বসম্মত আদেশে বলে, অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমি নিয়ে বহুকাল ধরে বিতর্ক সেখানে রামমন্দিরই হবে। আর মুসলমানদের মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয় রায়ে।
স্বাআলো/এস