হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট: পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে লালমনিরহাট জেলা জুড়ে। চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভুট্টা, ধান ও সবজির ক্ষেত।
তবে সাধ্যমতো কৃত্রিমভাবে পানি দিয়ে কোনো রকম ক্ষেত বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কৃষকরা। এছাড়া পানির সংকটে ব্যাহত হতে পারে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
দেখা গেছে, পানির অভাবে ভুট্টা ক্ষেত যেনো শুকনো খড়িতে রুপান্তরিত হয়েছে। যেসব গাছে ভুট্টা এসেছে তার মোছা শুকিয়ে দানাগুলো একেবারে ক্ষুদ্র হয়ে গেছে। যেগুলো বাজারজাত বা প্রক্রিয়াজাত করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি
সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ভুট্টা চাষী বেলাল হোসেন জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন। এর মধ্যে তিন বিঘায় হালকা সেচের ব্যবস্থা করেছেন। বাকিগুলোতে করতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, এমন সময় বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় হয় কৃষকদের সেচ সমস্যা হয় না। যে পানির দরকার হয় তা বৃষ্টির পানিতে পুরণ হয়ে যায়। কিন্তু এ সময়ে এমন খরা এর আগে কখনো চোখেই পড়েনি। শুধু ফসল বা সবজির ক্ষেত নয়, এ সময় গাছে নতুন পাতা গজানোর কথা থাকলেও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে তা শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে।
আজও থাকবে তাপপ্রবাহ, কাল ৪ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর লালমনিরহাটের উপপরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন জানান, এ সময়টা হারভেস্ট করার জন্য উপযুক্ত। তবে যেসব ক্ষেতে পানি সংকট দেখা দিবে সেসব খেতে সকাল বা বিকেল বেলা কৃত্রিমভাবে সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বছর জেলা জুড়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে।
স্বাআলো/এস