আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরলেন দুই হাজার ৫৩০ জন প্রবাসী, যারা সবাই অবৈধ ছিলেন বলে জানা গেছে। চলতি মাসে শুরু হওয়া অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।
গত ১ মার্চ দেশটিতে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু হওয়ার পর ২০ দিনে এই বাংলাদেশিরা জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা ও মালয়েশিয়া গেজেটের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত ৩
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় গত ২০ দিনে ১১ হাজার ৯৪৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন দুই হাজার ৫৩০ জন।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৮২৪ জন নথিবিহীন অভিবাসী নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন কর্মসূচিতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে ১২ হাজার ৪৯৫ জন পুরুষ, তিন হাজার ৭২৮ জন নারী, ৩১০ জন তরুণ ও ২৯১ জন তরুণী রয়েছেন।
রুসলিন বলেন, কর্মসূচিতে অবৈধ অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিবন্ধন করেছেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা। সাত হাজার ৭৮২ জন ইন্দোনেশীয় দেশে ফেরত যেতে নিবন্ধন করেছেন। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো ৩ বাংলাদেশির
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত দুই হাজার ৫৩০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এরপরই ভারতের দুই হাজার ৪৫৪ জন ও পাকিস্তানের এক হাজার ৬১৭ জন নাগরিক নিবন্ধন করেছেন।
রুসলিন বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্তত ৯৪ জন তাদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। তাদের সবাইকে চাকরির নিয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
‘প্রতারণার শিকার হওয়া কর্মীদের কাউকে আটক করা হয়নি। অভিবাসন বিভাগ তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দিয়েছে। কারণ তারা অভিবাসন আইনে কোনো অপরাধ করেননি।’
স্বাআলো/এস