গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনিদের জন্য সীমান্ত খুলে দিলো প্রতিবেশী দেশ মিসর।
বুধবার (১ নভেম্বর) রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে আহত বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মিসরে নেয়া হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এসব আহত ফিলিস্তিনিদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় মিসর, ইসরায়েল ও হামাসের সমঝোতা চুক্তির আওতায় বেশকিছু বিদেশি ও গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ গাজা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে।
মিসরীয় এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বুধবার ৫০০ বিদেশি পাসপোর্টধারীকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা ছাড়ার অনুমতি দেয়া হবে। এ জন্য সকালে রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনিদের পাশে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছেন।
অন্যদিকে বিবিসি জানিয়েছে, প্রথমে গুরুতর আহত ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে সীমান্ত পার হতে দেওয়া হবে। এরপর বিদেশি নাগরিকদের যেতে দেয়া হবে।
রাফাহ ক্রসিং মিসরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্ত পথ, যেটি গাজার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটিই এখন বন্ধ আছে। ফলে মিসরের এই সীমান্ত পথটিই এখন গাজার অসহায় মানুষের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই সীমান্তটি মিসরও বন্ধ করে দিয়েছিলো। এরপর বেশ কয়েক দিন আলোচনার পর গত সপ্তাহে গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশের জন্য এই সীমান্ত ক্রসিংটি সীমিত সময়ের জন্য খুলে দেয় মিসর।
স্বাআলো/এসএ