রংপুর নগরীর স্টেশন রোডস্থ আরডিসিসিএস মাঠে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিনব্যাপী রংপুর জেলা ইজতেমা।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে তিনদিনের এ ইজতেমা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
ইজতেমা মাঠের দায়িত্বরত আবুল বাশার ও জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আয়োজনের সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে মুসল্লিরা মাঠে আসা শুরু করে এবং রাত ১০টার মধ্যেই সবাই চলে আসে। রাতে সবাই ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবে। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পরপরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকভাবে বয়ান। আর এই বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ইজতেমার কাজ।
রংপুরে মেডিকেল ক্যাম্পাস থেকে লাশ উদ্ধার
তারা আরো জানান, এবারে ইজতেমায় রংপুর জেলার আট উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডেও প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিবে। সেই সাথে ঢাকার মুরব্বীরা উপস্থিত থাকবেন। এই ইজতেমায় আশেপাশের জেলার বিদেশ মেহমানরাও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের পয়ঃনিষ্কাশনে শৌচাগার, পাম্প ও ট্যাংকি স্থাপন করে অস্থায়ী গোসলখানা বানানো হয়েছে। মাঠ সমান করাসহ বিভিন্ন সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন।
ইজতেমার প্রথম খুটি স্থাপনে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছেন বলে জানা গেছে। আগামী শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে এবং সেই সাথে মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য এখান থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে রংপুর জেলার এই ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকাতে আইশৃঙ্খলা বাহিনী ও
স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও। এছাড়াও ইজতেমা সফল করতে স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষনিক কাজ করছেন।
এব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ আবু মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইজতেমার নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে ইজতেমা আয়োজকদের সাথে কথা বলে কর্মপন্থা সাজানো হচ্ছে। নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাআলো/এস