নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ,আলোচনাসভাসহ যশোরে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।
রবিবার (১৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি অফিস ভবনে আলোকসজ্জা এবং উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা।
তারপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু জীবনীভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সুখ-শান্তি ত্যাগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যার অবদান ছিলো অসাধারণ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর তার জন্য সকলকে এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাঈফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, সিভিল সার্জন ডা.বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম উদদ্দৌলাহ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু ও জিলা স্কুলের ছাত্র সৌভিক দাস স্বচ্ছ।
সঞ্চালনা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস ও কলেজছাত্রী স্বাগতা বিশ্বাস প্রথা।
আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বশেষ শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির শিক্ষার্থী শিল্পীদের পরিবেশনায় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকালে শহরের বকুলতলাস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি সেবাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জেয়ার্দার, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাঈফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেণ।
এছাড়াও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা শ্রমিকলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিদ দল জাসদ যশোর জেলা শাখা, মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবমহিলালীগ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবিব, যশোর সরকারি এমএম কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, শিক্ষা ও প্রকৌশলী অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ, উপ-মহাব্যবস্থাপক টেলিকম, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রক অধিদফতর, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, এলজিইডি জেলা ডাক বিভাগ, আনসার বাহিনী, যশোর সরকারি মহিলা কলেজ, শিল্পকলা একাডেমি, জয়তী সোসাইটি, জিলা স্কুল, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, যশোর কালেক্টারেট স্কুল, ডা. আব্দুর রাজ্জক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, যশোর সরকারি কলেজ, হামিদপুর আল হেরা কলেজ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে), যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, দৈনিক স্পন্দন, যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন।
স্বাআলো/এস