খুলনা বিভাগ

বাগেরহাটে সিজারের পর চিকিৎসক না থাকায় প্রসুতির মুত্যু

| June 20, 2024

আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার কচুয়া উপজেলায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করার পর চিকিৎসক না থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিলকিস বেগম (৩৫) নামের এক মায়ের অকালমুত্যু হয়েছে।

এতে ওই ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের উপর স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। যদিও বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার মঘিয়া চরসোনাকুড় গ্রামের শামীম বেপারীর প্রসুতি স্ত্রী বিলকিস বেগমকে বুধবার উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদের পাশে স্থানীয় প্যাসেন্ট কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এখানে দর দামের এক পর্যায়ে ১৭ হাজার টাকা চুক্তিতে বিকেলে সিজার করা হয়।

বাগেরহাটে সড়কে ঝরলো মোটরসাইকেল চালকের প্রাণ

বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দার ও ডাঃ ইন্দ্রজিত ওই ক্লিনিকে বিলকিস বেগমের অপারেশন করে একটি ছেলে সন্তার প্রসব করায় বলে জানান বিলকিসের স্বামী শামীম বেপারী। অপারেশনের পরে ডাঃ ফয়সাল নামের একজন চিকিৎসকের হেফাজতে রেখে অপারেশনকারী চিকিৎসকরা চলে যান। এর কিছু সময় পর বিলকিস বেগমের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক না থাকায় ডিপ্লোমা নার্স শারমিন আক্তার ও ওয়ার্ডবয় মিহির কুমার প্রসুতির দেখভাল করায় সুস্থতা ফিরে আসায় তারা মোবাইল ফোনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও কোনো চিকিৎসক আসে নাই। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হতদরিদ্র ওই প্রসুতিকে খুলনায় রেফার করেন। খুলনায় নেয়ার পরই বিলকিস বেগমের মৃত্যু হয়।

এখানের চিকিৎসকরা বলেছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিলকিস বেগমের লাশের দাফন শেষ করে স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানিয়ে স্বামী শামীম বেপারী ও তার লোকেরা ওই ক্লিনিকে গেলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা যথাসময়ে খুলনায় রেফার করেছেন। এর বাইরে তাদের করা কিছু নাই। অথচ ক্লিনিকে অপারেশন রোগী থাকলে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসক থাকার নিয়ম রয়েছে। শামীম বেপারী এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। ক্লিনিকের ম্যানেজার আকাশ সেখ বলেন আমাদের এই ক্লিনিকে ডাঃ ফয়সালের থাকার কথা ছিলো তবে উনি ছিলেন না। এ কারনে আমরা রোগীকে খুলনায় রেফার করেছি।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo