পবিত্র হজ শুরু: মক্কায় লাখ লাখ মুসলিমের জমায়েত

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হয়েছেন বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম। হজের অংশ হিসেবে বুধবার (৪ জুন) তারা ইহরাম পরিধান করে সারাদিন মিনায় অবস্থান করবেন। এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এই মুসলিম সমাবেশ।
মঙ্গলবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যা থেকেই অনেক হজযাত্রী মক্কার মসজিদুল হারাম বা নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় যাত্রা শুরু করেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) হজের মূল কার্যক্রম হিসেবে হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। হজের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত এই দিনে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকবেন হাজিরা।
হজের নিয়ম অনুযায়ী, হজযাত্রীরা ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছান, যা সুন্নত। সেখানে তাদের জন্য আলাদা তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। মিনায় তারা তালবিয়া পাঠ, জিকির, তিলাওয়াত ও দোয়ায় মগ্ন থেকে সারা দিন এবং রাতযাপন করবেন।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায় করে হজযাত্রীরা প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবেন। আরাফাতের ময়দানে হাজিদের কণ্ঠে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে পুরো এলাকা। এখানে অবস্থান করে তিলাওয়াত, জিকির, নামাজ আদায়, খুতবা শ্রবণ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন তারা।
হজের পাঁচ দিনব্যাপী কার্যক্রমে হজযাত্রীরা ৮ থেকে ১২ জিলহজ মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফায় রাত্রিযাপন, এরপর মিনা, জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি (দমে শোকর), মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা, মক্কার মসজিদুল হারামে তাওয়াফ ও সাঈয়ের মাধ্যমে হজের কার্যক্রম শেষ হবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজযাত্রী। গত ২৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মোট ২২৪টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবে পৌঁছান। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
স্বাআলো/এস