বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার হওয়া দুই বাংলাদেশি যুবতীকে উদ্ধার করেছে পুনে পুলিশ। মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে তাদের জোরপূর্বক যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়েছিল। এই ঘটনায় রাজু পাটিল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাকে চক্রের মূল হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুনে পুলিশের ধনকাওয়াড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার স্ত্রীও এই অপরাধে জড়িত এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ভারতী বিদ্যাপীঠ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার পুনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে যেখানে এক নারী তাকে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় নামানোর অভিযোগ জানান। খবর পাওয়ার পরপরই সহকারী পুলিশ পরিদর্শক স্বপ্নিল পাটিলের নেতৃত্বে একটি দল কাত্রাজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ২২ বছর বয়সী বাংলাদেশি নারীকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া নারী পুলিশকে জানান, কিছু দালাল তাকে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে আসে বিউটি পার্লারে চাকরির মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে। এরপর তাকে পুনেতে এনে প্রায় দুই বছর ধরে যৌন পাচার চক্রের হাতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি সাহসিকতার সাথে পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন।
ওই নারী আরো জানান, প্রায় এক মাস আগে একইভাবে আরও এক বাংলাদেশি নারীকে পাচার করে যৌনপেশায় বাধ্য করা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সিনিয়র পুলিশ পরিদর্শক রাহুলকুমার খিলারের নেতৃত্বে আরেকটি দল আমবেগাঁও পাঠার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ২০ বছর বয়সী দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করে।
পরিদর্শক খিলার বলেন, “এই দুই নারীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে আনা হয়েছিল এবং পরে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় নামানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি, যে একজন ভুক্তভোগী নারীকে তার ফ্ল্যাটে আটকে রেখেছিল। আদালত তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং তার স্ত্রীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এই নারীদের ভারতে এনে স্থানীয় যৌন পাচার চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার পেছনে আর কারা জড়িত, তা উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
যদি আপনি এই খবরের সাথে মানানসই কোনো ছবি তৈরি করতে চান, তবে আমাকে বলতে পারেন।
স্বাআলো/এস