সম্পাদকীয়: এক সময়ের প্রবাহমান সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দখল ও দূষণে খালের অস্তিত্বই বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
খালে ফেলা বর্জ্যরে কারণে বায়ু দূষিত হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। খালের জলজপ্রাণির টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুধু সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খালই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ রকম বহু খাল- বিল, নদ-নদী দখল-দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে। শিল্প-কারখানার বর্জ্য এসে পড়ে এসব খাল ও নদীতে। তারা আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কাও করে না।
অনেকে রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে ও প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খাল ও নদীর তীর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে থাকে।
যেমনটি ঘটেছে প্রাণসায়ের খালের ক্ষেত্রে। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করে দখলে নেয়া বেআইনি। কেউ এটা করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন জেল জরিমানার করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গণমাধ্যমকে বলেছে, যে কোনো মূল্যে খালটিকে দূষণ ও দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন আশ্বাস পৌরসভার মেয়রও দিয়েছেন।
আমরা বলতে চাই, এটি শুধু মুখের কথাই যেন থেকে না যায়। খালটির তীর যারা দখল করেছে, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
খালটিকে বর্জ্যমুক্ত করতে হবে। কর্তৃপক্ষ খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা আমরা দেখতে চাই।
স্বাআলো/এস