ঈদের আগেও অনাহারে ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বিমান এবং স্থল হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা যেন দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের সংযমের মাস রমজানের শেষ দিকে এসে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। তাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও গাজার বহু মানুষ অনাহারে থাকবে।

বুধবার গাজায় ঈদুল ফিতরের উৎসব পালিত হওয়ার কথা। কিন্তু ছিটমহলটির ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উৎসবের কোনো আমেজ নেই। তারা অন্য দেশগুলোর পাঠানো ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। পরিচয় পত্র হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে দেয়া ত্রাণ বাক্স গ্রহণ করছে।

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা জানান, ত্রাণ সরবরাহ আগের চেয়ে বাড়লেও এখনও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

এ বিষয়ে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দাইর আল-বালাহ এক শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ফায়েজ আব্দেল হাদি বলেন, ‌‘পর্যাপ্ত খাবার নেই। দুই মাস ধরে আমি কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি। সোমবার আমরা একটি বাক্স পেয়েছিলাম। কিন্তু তা আমার ও আমার সন্তানদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮ জন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ছিলো না। একজন যদি প্রতিদিন একটি করে বাক্সও পায় তাহলেও তা পর্যাপ্ত হবে না।

বিতরণ করা ত্রাণে খাবার থাকলেও সাবান ও ডিটারজেন্টের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্য পণ্য নেই বলেও জানান তিনি।

উম্মে মোহাম্মদ হামাদ নামের এক বাসিন্দা জানান, উত্তর গাজার নিজ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি জাতিসংঘের এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। দুই মাস ধরে সেখানে আছেন তিনি। তারা এতদিন কোনো ত্রাণ বাক্স পাননি, কোনো সাহায্য পাননি।

স্বাআলো/এস

Share post:

Subscribe

spot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ঝড়ে দুর্দান্ত জয় বরিশালের

টার্গেটে ১৯৮ রান। বড় লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ৫১...

চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার পানিতে ডুবে আরবী খাতুন (৫)...

আতশবাজি-ফানুস উৎসব নিয়ে যে বার্তা দিলেন জয়া আহসান

কতশত স্মৃতি নিয়ে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ২০২৪। নতুন বছর ২০২৫’...

শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ থেকে তিনদিন সারাদেশে দিন ও...