সম্পাদকীয়: যশোরে জোনাকি খাতুন নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শহরের রেলগেট মডেল মসজিদের পাশে পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জোনাকি খাতুন বেনাপোল পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ভাই তাওহিদ হোসেনের অভিযোগ।
২৫ মার্চ যশোরের বিএনপি নেতা মুল্লক চাঁদের চালের আড়ত থেকে ওই নেতার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হাসানের লাশ উদ্দার করা হয়। পাওনা টাকা আদায়ে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে প্রতিষ্ঠান মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
খুলনা মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডের পাঠক প্রিয় লাইব্রেরির গোডাউন থেকে রফিকুল ইসলাম মোল্লা নামে এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোডাউন থেকে তার লাশ উদ্ধার কার হয়। রফিকুল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দিনকে দিন উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে। হত্যার শিকার হতভাগ্যদের স্বজনদের সান্তনা পাবার মতো কোনো দৃষ্টান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থাপন করতে পারছে না। এসব ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে বলে জনগণ জানতে পেরেছে। এর বাইরে সারা দেশে আরো কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিনা তা সবার অলক্ষ্যে থেকে গেছে।
এভাবে প্রতিনিয়ত হত্যাজনিত কারণে লাশের মিছিল বাড়ছে। প্রতিনিয়ত দুর্বৃত্তদের দাপটের সাথে ঘোরাঘুরি ও তাদের দুর্বিনীত আচরণে জনগণ দারুণভাবে উদ্বিগ্ন। আতঙ্কে কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত। দুর্বৃত্তের হাতে যারা জীবন হারাচ্ছেন তারা হত্যা পরবর্তী কিছু জানতে পারছে না। কিন্তু তাদের স্বজনদের অবস্থাটা কি হয় তা অনুভুতিশীল সব মানুষই জানেন। স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে দীর্ঘ সময় তাদের কাটাতে হয়। অনেক সংসারে আয়ের লোকটি হারিয়ে যাওয়ায় তার রেখে যাওয়া পোষ্যরা অকুল সাগরে পড়ে।
এতে সমাজে অসহায় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে দারুণভাবে। নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা পুলিশের ওপর বর্তেছে।
‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ এ কথা কেবল স্লোগানে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন সবার কাম্য।
স্বাআলো/এসআর