রংপুর ব্যুরো: রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলে এবারো দাম নিয়ে সিন্ডিকেট আতঙ্কে ভুগছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। গত বছরো একই পরিস্থিতি ছিলো। এতে সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করায় ব্যববসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। ক্রমাগত লোকসানের কারণে অনেকেই পেশা বদল করেছেন। এ নিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রংপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা।
রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়
তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তারা ব্যবসায় লোকসান গুনছেন। ন্যার্য দামও পাচ্ছেন না। এতে তারা পুঁজি হারিয়ে পথে বসছেন। অনেকেই এ ব্যবসা ছেড়ে পেশাও বদল করেছেন। এজন্য ন্যায়্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে রংপুরে ট্যানারি স্থাপনের দাবি সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ রংপুর অঞ্চলে প্রতি বছর কোরবানীর সময় প্রতিটি জেলায় দেড় থেকে দুই লাখ পিচ চামড়ার আমদানি হয়। সেই হিসেবে প্রতি বছর কোরবানীর সময় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ পিচ গরুর চামড়া আমদানি হয়। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।
রংপুরে বাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৩
রংপুরে কয়েক বছর আগেও দুইশ ওপর চামড়ার গোডাউন ছিলো। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২০ থেকে ২৫ টিতে। এবার চামড়া ব্যবসায়ীদের হতে নগদ টাকা নেই। ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিগত দিনের বকেয়া পরে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারিগুলোতে। এনিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, রংপুরসহ অত্র অঞ্চলে প্রায় পাঁচ শতাধিকের বেশি চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবেন না বলে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। গত বছরের মত এবারো অর্ধেক দামে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে এমনটা শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ঢাকার বাইরে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা গত বছরের মত সিন্ডিকেট করে ট্যানারি মালিকরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে।
সুবিধাবঞ্চিত রংপুর অঞ্চলের মানুষ, রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি
নগরীর শাপলা চত্বর এলাকার কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত বছর অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ক্রেতা না থাকায় অনেকে খাসির চামড়া ফেলে দিয়েছেন। এবারো এমনটা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ীদের ধারণা এবার দেশের ট্রানারি মালিকরা চামড়ার সঠিক মূল্য না দিলে চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চামড়া শিল্প ধ্বংসের কারণ হচ্ছে ঢাকার ব্যবসায়ীরা। তারা সিন্ডিকেট করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অনেকের লোকসান হয়েছে। আমি নিজেও লোকসানে পড়ে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। কেউ কেউ অন্য পেশায় গেছেন।
স্বাআলো/এস