আজাদুল হক, বাগেরহাট: শিক্ষর্থীদের ব্যানারে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে বাগেরহাট জেলা সদর ও রামপালে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা।
রবিবার (৪ আগস্ট) বাগেরহাট জেলা কালেক্টরেট চত্ত্বরের সামনে আন্দোলনের ব্যানারে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের বিক্ষোভ শুরু করেন অসহযোগ আন্দোলনকারীরা।
জেলা সদরের কাড়াপাড়া, দেওয়নাবাটি, মেগনিতলা পচাদিঘির পাড় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা সমন্বয় করে খানজাহান আলী কলেজ এলাকায় প্রথমে অবস্থান নেয়। তারা সড়কের পাশে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এবং সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ওই সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের তিন নেতা ও পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে সড়কে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মিছিল করতে দেখা যায়।
মিছিল থেকে জামাত-শিবিরকে প্রতিহতের স্লোগান দেয়া হয়। এদিকে রামপাল উপজেলায় মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা উপজেলার ফয়লা এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪/৫ জন আহত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুইটি অফিসও ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। তাদের হামলায় রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস ও ওসি তদন্ত বিধান বিশ্বাস আহত হয়েছেন।
রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তাদের ছোড়া ইট আমার হাত ও পায়ে লেগেছে। এছাড়া খুলনা-মোংলা মহাসড়ক ফয়লা, ভাগা এবং ফকিরহাটের কাটাখালি মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় অসহযোগ আন্দোলনকারীরা।
ফকিরহাটের কাটাখালি এলাকা থেকে দুইটি এ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক সরদার আব্দুল কাদের বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোকজন দলীয় অফিস ভাঙচুর করেছে। তাদের হামলায় পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক শঙ্কর কুমার সাহা, বারুইপাড়া ইউনিয়নের যুগ্ন আহবায়ক জিলানী আহমেদ ও সদস্য হাসান শেখ আহত হন।
দলের স্বার্থে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকলীগ মাঠে থাকবে বলে হুশিয়ারি দেন এই নেতা।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়কের উপরে আন্দোলনকারীরা সমবেত হয়। এখানে আমাদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও আদালত ভবন রয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা আগে থেকেই ছিলেন। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবেই তাদেরকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
স্বাআলো/এস