ঢাকা অফিস: ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপকূলীয় এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একারণে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম যদি প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে স্থানীয়ভাবে তা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।
যশোরে ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ২২৪৫ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
রবিবার (২৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল জনিত পরিস্থিতিতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওইসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। দুর্যোগ পরিস্থিতিতে উপকূলীয় জেলাসহ সংশ্লিষ্ট জেলায় দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী তারা এই ব্যবস্থা নেবে।
সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানবে ‘হামুন’, রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে আন্ত-মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ সারাদেশের সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন: পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭০৩ আশ্রয়কেন্দ্র
এছাড়া, রেমাল আঘাত আনতে পারে এমন এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে, তবে ক্লাস হবে না।
স্বাআলো/এস