আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিফতর (ডিআরআই)। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় ৬৮ ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ জওয়ান ও কলকাতা রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের কর্মকর্তারা যৌথ অভিযান চালিয়ে সাত সন্দেহভাজনকে আটক করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯ দশমিক ৫৭ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ছয় কোটি ৮৬ লাখ রুপি। এছাড়াও, নগদ ১১ লাখ ৫৮ হাজার রুপিসহ সোনা চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি মারুতি গাড়িও জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী
সাতক্ষীরায় ৮২ লাখ টাকার সোনার বার উদ্ধার
তারা জানিয়েছে, এসব সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিলো।
বিএসএফ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (ডিআরআই) সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে একটি সোনা চোরাচালানের গোপন তথ্য শেয়ার করেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ১১ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ তারা একটি সন্দেহভাজন মারুতি ইকো গাড়ি থামান এবং ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গাড়িটিতে তল্লাশি চালান। এ সময় চার দশমিক আট কেজি সোনাসহ দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
এরপর আরো দুইটি বাস থামিয়ে তল্লাশি চালায় যৌথ বাহিনী। এর একটি বাস থেকে যথাক্রমে এক দশমিক দুই কেজি এবং অপরটি থেকে তিন দশমিক ৬২ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এসব সোনা পাচারে জড়ি অভিযোগে আটক করা হয় চারজনকে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে আরো এক চোরাকারবারির খবর জানতে পারে যৌথ বাহিনী। সেই খবরের ভিত্তিতে করিমপুরের রামনগর গ্রামে একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি সোনার বিস্কুটসহ নগদ ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ রুপি উদ্ধার করা হয় এবং এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রফিক মণ্ডলের বাড়ি নদীয়া জেলার টেপুরে। বাকিদের মধ্যে লাল, রবি, প্রদীপ, দাউদ, সীমান্ত এবং বিট্টু নদীয়ার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরচালানে জড়িত। এবার কৃষ্ণনগরে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে সোনার চালান পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এর বিনিময়ে তিন হাজার রুপি পেতেন তিনি। কিন্তু তার আগেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান।
এর আগে, ২০২২ সালে ১৬টি সোনার বিস্কুটসহ রফিক মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো, যার মামলা এখনো চলছে।
এমপি আনার হত্যা : রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আড়াল হচ্ছে সোনা চোরাচালান
অন্য অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, করিমপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা নিয়ে কলকাতার দমদম রেলস্টেশনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দিলে তাদের দুই থেকে পাঁচ হাজার রুপি দেয়া হতো।
উদ্ধার সোনা এবং ধৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিআরআই কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস